রিপোর্টোর : মোনতাহেরুল হক আমিন : বাঁশখালী প্রতিনিধি।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় পুকুরের মাটি কাটার ও মারধরের অভিযোগে খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলামসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার (২৩ মে) বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন খানখানাবাদ ৩ নম্বর প্রেমাশিয়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আবদু রশিদ।
গত (১৫ মে) উপজেলার খানখানাবাদ ইউপির পশ্চিম রায়ছাড়া এলাকায় রইয়া পুকুর পাড়ের অবৈধ মাটি কাটা ও মারধরের ঘটনায় চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন আবদু রশিদ নামে একব্যক্তি। মামালটি আমলে নিয়ে বাঁশখালী থানাকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে। আদালতের নির্দেশ অনুসারে শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে বাঁশখালী থানা মামলা রুজু করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাঁশখালী থানার উপ-পরিদর্শক কামরুল হাসান কায়কোবাদ।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নের প্রেমাশিয়া এলাকার মোঃ সেলিম এর মালিকানাধীন রাইয়া পুকুরে পূর্ব পাড়ে দখল করে মাটি কাটার অভিযোগ পেলে ।
ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় আবুল হোসেনের পুত্র আবদুল গফুর ওসমান গনির পুত্র আজিজুল হক, আবু সালেহ পুত্র আনিসুল ইসলাম, দুদু মিয়ার পুত্র ইমাম শরীফ পুকুর পাড়ের অবৈধভাবে মাঠি না কাটার জন্য নিষেধ করলে উল্টো তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন দাঁরালো অস্ত্রে এবং মারধরের অভিযোগ এনে স্থানীয় খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম, আশরাফ আলী, আনোয়ার ইসলাম , আবদু ছবুর, আবদুল মালেক , আবু তাহের, আবদুল খালেক, নবী প্রকাশ মিঠা নবী, আবুল হোসেনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মাঠি কাটা ও মারধরের অভিযোগ এনে স্থানীয় আব্দু রশিদ বাদী হয়ে গত ১৫ মে চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাঁশখালী থানার ওসিকে মামলাটি থানায় এজাহার হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে। আদালতের নির্দেশ অনুসারে শুক্রবার ২৩ মে বাঁশখালী থানায় মামলাটি রুজু করেন বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।
এই বিষয়ে মামলার বাদী আব্দু রশিদ জানান, অবৈধভাবে আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি থেকে মাটি কাটার অভিযোগ পেয়ে গত ১৫ মে ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের নির্দেশে আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ বিষয়ে আদালতে মামলা করতে গেলে আদালত মামলাটি বাঁশখালী থানাকে নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে।
খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম জানান, মাটি কাটা ও মারধরের ঘটনায় আমি অবগত নই ঘটনার সময় আমি চট্টগ্রাম শহরে ছিলাম। শহর থেকে গ্রামে এসে শুনি ওই ঘটনায় আমাকে মামলার এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়। মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ রইলো।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, খানখানাবাদ এলাকার মাটিকাটা ও মারধরের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে একটি মামলার রুজু করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
0 Comments