ডেক্স রিপোর্ট 

খান ফাউন্ডেশন ও পালস বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে এবং দাতা সংস্থা এসডিসি ও কানাডা হাইকমিশনের আর্থিক সহায়তায় কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হলো “ভয়েস ফর চেইঞ্জ” প্রকল্প বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা। কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় কক্সবাজারে খান ফাউন্ডেশন প্রকল্প অফিসে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পালস বাংলাদেশের নির্বাহী প্রধান জনাব সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কলিম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খান ফাউন্ডেশনের মনিটরিং অ্যান্ড রিপোর্টিং ম্যানেজার এবং ভয়েস ফর চেইঞ্জ প্রকল্পের প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী জনাব মোঃ মোর্শেদ আলম।

কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন কক্সবাজার জেলার ৫টি উপজেলার (সদর, রামু, ঈদগাঁও, চকরিয়া ও পেকুয়া) বিভিন্ন স্থানীয় সংগঠনের প্রতিনিধিরা। উল্লেখযোগ্য সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে:

প্রচেষ্টা যুব সংঘ, ইসলামাবাদ যুব ফোরাম, হেল্প ইয়ুথ ক্লাব, জুপাপ, ইউএসকেএফ, ইটিএস ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট, জিএসবি গ্রুপ, অর্ণব, আল-আমিন স্টুডেন্ট অ্যান্ড ইয়ুথ অর্গানাইজেশন, নান্দনিক, মমতা যুব মহিলা ক্লাব, কোনাখালী নারী মঙ্গল সংস্থা, প্রত্যাশা যুব মহিলা সংগঠন, বহুমুখী পল্লী উন্নয়ন সংস্থা, মানবিক পাঠশালা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, তরুণ আলো একতা যুব সংঘ এবং সিকদারপাড়া এগ্রো যুব ক্লাব।

কর্মশালায় প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্থানীয় সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি কার্যকর নেটওয়ার্ক গঠনের বিষয়ে সম্মতি গৃহীত হয়।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য:

১। গভর্ন্যান্স, অর্থায়ন, মনিটরিং এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সক্ষমতা বৃদ্ধি।

২। জেন্ডার ও জলবায়ু বিষয়ক ন্যায়ের পক্ষে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি নারী নেতৃত্ব বিকাশে প্রশিক্ষণ ও সরকারি সেবা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নাগরিক ক্ষমতায়ন।

৩। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে নীতিগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে অ্যাডভোকেসি প্রচেষ্টায় নারী, যুব সমাজ এবং অন্যান্য অংশীজনদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি।

৪। প্রকল্পের শুরু ও শেষে বেসলাইন ও এন্ডলাইন জরিপের মাধ্যমে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কৌশলগত উদ্যোগ গ্রহণে সহায়তা প্রদান।

প্রকল্পের প্রেক্ষাপট:

প্রকল্পটি দুর্নীতি প্রতিরোধ, রাজনৈতিক বিশ্বাস পুনর্গঠন, নাগরিক অধিকার সম্প্রসারণ, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি হ্রাসের লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, “ভয়েস ফর চেইঞ্জ” প্রকল্পটি খান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ৫টি স্থানীয় সহযোগী সংস্থার সহায়তায় ২০২৫ সাল থেকে জুন ২০২৭ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের ৫টি জেলার ২০টি উপজেলার ১৭৪টি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হবে।